নারীশিক্ষা
Click Image for Gallery
মহিলাদের দ্বীনী প্রয়োজন পূরণের জন্য পুরুষ আলেম যথেষ্ট নয়। অভিজ্ঞতায় এমনই প্রতীয়মান হয়, প্রথমত পর্দা রক্ষার্থে তারা আলেমদের শরণাপন্ন হতে পারেন না। উপরন্তু সকল নারীর জন্য এমন পুরুষও নেই, যাকে আলেমের কাছে পাঠিয়ে মাসআলা জানবেন। আবার অনেক পরিবারে পুরুষই দ্বীনের ব্যাপারে যত্নশীল নয়, সে কীভাবে অন্যের জন্য আলেমের নিকট প্রশ্ন নিয়ে যাবে? অতএব এ ধরনের মহিলাদের জন্য দ্বীনী বিষয়ের সমাধান কঠিন।
কোনোভাবে যদি কাউকে (মাসআলা নিয়ে আলেমদের কাছে) পাঠানোও যায়, অথবা কোনো পরিবারে বাপ-ভাই আলেমও হন, তবুও মহিলাদের এমন কিছু মাসআলা থাকে, যা এসকল পুরুষের কাছে বলতে পারেন না। এগুলো বলতে পারেন স্বামীর কাছে; আর স্বাভাবিক কথা যে, সকলের স্বামী আলেম হওয়া সম্ভব নয়।
সুতরাং সকল মহিলার সমস্যা সমাধানের চিন্তা করলে কিছু মহিলাকে অবশ্যই দ্বীনী শিক্ষায় পারদর্শী হতে হবে। এছাড়া উপায় নেই। প্রয়োজনে প্রচলিত পদ্ধতিতে শিখবে। (কারণ দ্বীন শিক্ষা করা ওয়াজিব।) এখন সেটি প্রচলিত পদ্ধতির উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে, তাই (অন্য পদ্ধতি না হলে অন্তত) এই পদ্ধতিতে হলেও (কিছু মহিলাকে দ্বীন) শিখতে হবে। অন্যরা তাদের থেকে শিখে নেবেন এবং বুঝে নেবেন।