হাদীস ও সুন্নাহয় কাবলাল জুমা [Hadis o Sunnay Qablal Jumma]
যেসব বিষয় উম্মাহর মাঝে প্রতিষ্ঠিত ও শক্তিশালী দলীল দ্বারা প্রমাণিত হওয়া সত্ত্বেও বর্তমান সময়ে অপপ্রচারের শিকার তার একটি হচ্ছে জুমার আগের সুন্নাত।
আল্লাহ তাআলা জাযায়ে খায়ের দান করুন ইমাম যায়নুদ্দীন ইবনে রজব হাম্বলী রহ.কে (৭৯৫ হি.), যাঁর তালীমের সূত্র ইমাম ইবনুল কাইয়েম রহ. (৭৫১ হি.) ও ইমাম ইবনে তাইমিয়া রহ. (৭২৮ হি.)-এর সাথে যুক্ত, তিনি এ বিষয়ে দুটি পুস্তক রচনা করেন :
১. نَفْيُ الْبِدْعَةِ عَنِ الصَّلَاةِ قَبْلَ الْجُمُعَةِ ـ ২. إِزَالَةُ الشُنْعَةِ عَنِ الصَّلَاةِ قَبْلَ الْجُمُعَةِ
এ দুটি পুস্তিকায় তিনি সুস্পষ্ট দলীল-প্রমাণ দ্বারা ঐ অভিনব দাবি জোরালোভাবে খণ্ডন করেন।
অনেকগুলো সহীহ হাদীসে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশনা আছে, জুমার জন্য যেন আগে আগে যাওয়া হয়, মসজিদে পৌঁছে যদি দেখা যায়, ইমাম খুতবার জন্য আসেননি তাহলে নামায পড়বে, ইমাম এসে গেলে চুপচাপ বসে খুতবা শুনবে।
খাইরুল কুরূন থেকে মুসলমানদের এ আমল চলে আসছে যে, তাঁরা জুমার আগের নফল নামায ‘যাওয়ালে শামস’ বা সূর্য ঢলে যাওয়ার আগেও পড়তেন আবার পরেও পড়তেন, কিন্তু এই চার রাকাত পড়তেন সূর্য ঢলে যাওয়ার পরে। আর এরই নাম ‘কাবলাল জুমা’ বা ‘জুমার আগের সুন্নাত’।
সুতরাং ‘কাবলাল জুমা’ তথা জুমার পূর্বের সুন্নাত, যা হাদীস ও সুন্নাহ্ দ্বারা প্রমাণিত, তাকে বিদআত বলা একান্তই গোমরাহী।